Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্য/সেবা, তথ্য বাতায়ন হতে গ্রহণ করুন।


ইতিহাস

সান্তাহার সাইলো, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন খাদ্য অধিদপ্তর নিয়ন্ত্রণাধীন একটি খাদ্য সংরক্ষণাগার-স্থাপনা। ঔপনিবেশিক আমলে ১৯৪৩ সালে বাংলার দুর্ভিক্ষ মোকাবিলা করার জন্য তৎকালীন প্রাদেশিক সরকার Bengal Rationing Order/1943 জারি করে এবং Bengal Civil Supplies Dept. প্রতিষ্ঠা করে। ১৯৫৫ সাল হতে ১৯৫৬ সালে পর্যায়ক্রমে সিভিল সার্ভিস বিভাগ অবলুপ্ত করা হয়। অবলুপ্তির কুফল হিসেবে খাদ্য দ্রব্যের মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায় এবং দেশে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। ফলে ১৯৫৬ সালে তৎকালীন সরকার কর্তৃক তড়িঘড়ি করে বেসরকারি সরবরাহ বিভাগের অবয়বে খাদ্য বিভাগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৫৭ সালে খাদ্য বিভাগকে একটি স্থায়ী বিভাগে রূপান্তর করা হয়। দেশের বিভিন্ন একালায় খাদ্য ঘাটতি দেখা দিলে খাদ্যশস্য সংগ্রহ/আমদানী সম্ভাব্যতার নিরিখে এবং পুরো দেশকে কভারেজ দেবার লক্ষ্যে অন্যান্য স্থানের সাথে সান্তাহার পৌরসভার উপকেন্দ্রে; জার্মানী, সুইজারল্যান্ড ও সুইডেনের ইলেকট্রোমেকানিক্যাল মেশিনারিজ এবং সিভিল কন্সট্রাকশনের আওতায় ২৫,০০০.০০ (পঁচিশ হাজার) মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার ৪১ বিনবিশিষ্ট এই সাইলোটি নির্মাণ করা হয় এবং ১৯৭০ সাল থেকে খাদ্যশস্য (গম) সংরক্ষণ হয়ে আসছে। স্বাধীনতা অর্জনের পর Food and Civil Supplies Ministry এর অধীনে পূর্বের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোসহ ‘খাদ্য ও বেসামরিক সরবরাহ বিভাগ’ নামে পাঁচটি পরিদপ্তরের সমন্বয়ে খাদ্য বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তী পরিদপ্তরসমূহের সমন্বয়ে পূনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাসপূর্বক নতুন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ খাদ্য অধিদপ্তর (Directorate General of Food)। এবং মাঠ পর্যায়ের সকল খাদ্য সংশ্লিষ্ট কর্মকান্ডের প্রধান তদারককারী হিসেবে খাদ্য অধিদপ্তর দায়িত্ব পালন করে আসছে। মাঠ পর্যায়ের সাথে নিবিড় যোগাযোগ থাকায় দেশের সার্বিক খাদ্য ব্যবস্থা-অবস্থার সম্যক ধারণা দিতে খাদ্য অধিদপ্তর সক্ষম। এই ধারণা-নির্ভরতায় দেশের আপৎকালীন মজুত গড়ে তোলা এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তৎকালীন সরকার সময়ের চাহিদায় অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত খাদ্য গুদাম নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। সেই লক্ষ্যে খাদ্যশস্য সংগ্রহের সম্ভাব্যতার নিরিখে দিনাজপুর-নওগাঁ-কুষ্টিয়ার অন্তবর্তী স্থান সান্তাহার সাইলোর আঙ্গিনায়, জাইকার (JICA) নিবিড় তত্ত্বাবধানে এশিয়া মহাদেশের অন্যতম একটি অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত ২৫,০০০.০০ (পঁচিশ হাজার) মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার সান্তাহার মাল্টিস্টোরেড (দ্বি-তল) ১৬ কক্ষবিশিষ্ট ওয়্যারহাউজ নির্মাণ করা হয় এবং জাইকার নির্দেশনা পরিপালন করে ২০১৭ সাল থেকে খাদ্যশস্য (চাল) সংরক্ষণ হয়ে আসছে। এভাবে, সান্তাহার সাইলো ও ওয়্যারহাউজ গম ও চাল সংরক্ষণ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অদ্যাবধি খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান রেখে চলেছে।

ধন্যবাদ